আল্লাহর কয়েকটি নামের ফজিলত
=) পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম
সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাস বলেছেন, ‘সকল
প্রকার যিকির হতে আল্লাহ্ পাকের নামের যিকির সর্বোত্তম।’
হযরত আবু হোরায়রা (রা:) বলেন, নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেছেন আল্লাহ
তালার ৯৯টি নাম রয়েছে, যে
সেগুলো মুখস্থ করবে সে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে।
আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে ১২টির ফজিলত-আসমায়ে হোসনার
ফজিলত-
আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে ১২টরি ফজিলত বর্ণনা করা হলো-
১. ইয়া-আল্লাহ : যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার আল্লাহর
নামটি জিকির করবে, আল্লাহপাক
তার ঈমান দৃঢ় করবে। পার্থিব কোন লোভ-লালসা বা ছলনা তার ঈমান নষ্ট করতে পারবে না।
২. ইয়া-রাহমানু : (হে অনুগ্রহকারী ও করুণাময়)
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ গুণবাচক নামটি ১১১১ বার যিকির করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের
প্রতি সকলেই সহানুভূতিশীল থাকবে।
৩. ইয়া-রাহীমু : (হেদয়াময় ও পরম দয়ালু) প্রতিদিন
নিয়মিতভাবে এ গুণবাচক নামটি ১১১বার পাঠ করলে পাঠকের মন ইনশাআল্লাহ্ বিনয়ী ও নম্র
হবে।
৪. ইয়া-মালিকু :(হে মালিক প্রভূ) যে ব্যক্তি ফজরের
নামাজের পর প্রত্যহ ১০০ বার ‘ইয়া-মালিক’ বলবে আল্লাহতালা তাকে ধনী করে দিবেন।
৫. ইয়া-কুদ্দুসু :(হে পবিত্রতম) যে ব্যক্তি প্রত্যহ
সূযাস্তের সময় এই নামটি ১০০ পাঠ করবে আল্লাহ তার মনের বিদ্বেষ দূর করে দিবেন।
৬. ইয়া-সালামু :(হে শান্তি দান কারী) যে ব্যাক্তি এই
নামটি “ইয়া-সালামু” বেশি বেশি পাঠ করবেন আল্লাহ তার সকল প্রকার বালা মুসিবত থেকে
বাঁচিয়ে রাখবেন।
৭. ইয়া-মু’মিনু :(হে পরম বিশ্বাসী) প্রতিদিন নিয়মিত
ভাবেএ পবিত্র নামটি অধিক পরিমানে পাঠকারী ব্যক্তি শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্তি লাভ
করবে।
৮. ইয়া-মুহাইমিনু :(হে রক্ষাকর্তা ও পরম সাহসী) যে
ব্যক্তি গোসল করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে খাস দিলে ১০০ বার “ইয়া-মুহাইমিনু” এই
নামটি পড়বে আল্লাহ তালা তার মনের ভিতর থেকে সকল প্রকার ভয় দূর করে দিবেন। মনে
সাহস বৃদ্ধি পাবে।
৯. ইয়া-আযীযু :(হে পরাক্রমশালী) যে ব্যক্তি ৪০ দিন
পর্যন্ত একাধারে ৭৫ বার “ইয়া-আযিযু” পড়বে আল্লাহপাক তাকে সম্মানিত ও অমুখাপেক্ষী
করে দিবেন।
১০. ইয়া-জব্বারু :(হে অসীম ক্ষমতাশালী) কেউ যদি উক্তি
নামটি হাতের আংটির পাথরে খোদাই করে ব্যবহার করে, তবে
সে যেখানেই গমন করুক না কে লোকে তাকে সম্মান করবে।
১১. ইয়া-মুতাকাব্বিরু:(হে মহা গৌরবান্বিত) নিয়মিত
ভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৬৯৫বার পাঠ করলে পাঠকের মানসম্মান ও ব্যক্তিত্ব
বৃদ্ধি পাবে।
১২. ইয়া-খলিক্কু :(হে সৃজনকারী বা সৃষ্টিকর্তা) যে
ব্যক্তি একাধারে ৭ দিন পর্যন্ত এই নামটি সদা সর্বদা জিকির করিবে, আল্লাহ তালা তাকে বিপদ-আপদ থেকে
মুক্ত রাখবেন।
আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلْوَاجِدُ) ‘আল-ওয়াজিদু’:-
উচ্চারণ : ‘আল-ওয়াজিদু’
অর্থ : ‘এমন মুখাপেক্ষীহীন সত্তা, যিনি কারো কাছে কোনো কিছুর জন্য মুখাপেক্ষী নন’
যে ব্যক্তি খাবারের সময় প্রত্যেক লোকমায় আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْوَاجِدُ) ‘আল-ওয়াজিদু’ পাঠ করবে; তা ওই ব্যক্তির শরীরে নূর হয়ে যাবে।
যে ব্যক্তি নির্জনে একনিষ্ঠ মনে আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْوَاجِدُ) ‘আল-ওয়াজিদু’ পাঠ করবে; সে ব্যক্তি ধনী বা সম্পদশালী হয়ে যাবে।
(আস্-সালামু)
নামের অর্থ ও আমল
(আস-সালামু)
অর্থ: শান্তিদাতা।
১। যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে ‘ইয়া
সালামু পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সর্ব প্রকার
বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন।
২। কোন রোগীর উপর ১১৫ বার পাঠ করে দম
করলে ইনশাআল্লাহ আরোগ্য লাভ করবে।
৩। যে ব্যক্তি দৈনিক ফজরের নামাযের পর
এক হাজার বার (ইয়া সালামু) সর্বদা পাঠ করবে, আল্লাহর
রহমতে সে ব্যক্তি মৃত্যু পর্যন্ত অর্ধাঙ্গ, পেরালাইসেস,
অন্ধ,
অবশ-অক্ষম
রোগ থেকে নিরাপদ থাকবে। দোয়ায় প্রথমে ও শেষে এগার বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে। অতঃপর
উভয় হাতের তালুর উপর ফু দিয়ে হস্তদ্বয় সমস্ত শরীর মছেহ করবে। আল্লাহর রহমতে
অর্ধাঙ্গ, অন্ধত্ব, অবস-অক্ষম, পেরালাইসেস
রোগ হতে শেফা লাভ করবে।
৪। যে কোন রোগীর মাথার নিকট বসে দুহাত
তুলে উচ্চৈস্বরে ১৩৬ বার ধারাবাহিক কয়েকদিন পাঠ করলে রোগ নিরাময় হবে।
৫। দৈনিক ৬২ বার পাঠ করলে মনের অস্থিরতা
ও অশান্তি দূর হয়।
৬। কোন রোগীর আরোগ্য লাভের জন্য তিন দিন
পর্যন্ত (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমি, ইয়া সালামু) এক হাজার বার পাঠ করলে
রোগী আরোগ্য লাভ করবে। নিয়ম এই:
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা
মুহাম্মাদিন নাবীয়্যিনা ফিল আমবিয়ায়ী। আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা রাসূলিনা
মুহাম্মাদিন ফিল মুরসালীনা ওয়া আলা আলিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।
অতঃপর একাধারে সাত দিন পর্যন্ত এই আমল
করে রোগীর উপর দম করবে অথবা ওষুধ কিংবা পানিতে দম করে রোগীকে পান করাবে । আল্লাহ
তায়ালা আরোগ্য দান করবেন।
৭। কানযুল আমালিয়াত কিতাবে আরো উল্লেখ
আছে যে, যদি কোন ব্যক্তি বেহুশ হয়ে পড়ে তাহলে অপর কোন লোক ওজুসহ
রোগীর মাথার কাছে বসে তিনশত বার (ইয়া রাহমানু, ইয়া
সালামু) পাঠ করবে । আল্লাহর রহমতে রোগীর হুশ ফিরে আসবে।
৮। প্রত্যহ ১০০১ বার
(ইয়া সালামু) পাঠ করলে প্রতিবেশীর অনিষ্ট হতে নিরাপদ থাকবে। বন্ধু-বান্ধবের
অপকারিতা হতে মাহফুজ থাকবে।